
লামায় শিক্ষক রুবেলের প্রতি শিক্ষার্থীর অভিভাবকের ভুল বোঝাবুঝির অবসান: স্থানীয় মধ্যস্থতায় মিমাংসা
মোস্তফা কামাল,চকরিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা
লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী ১নং রিপুজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা ছাত্রীকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর ২০২৫ইং) সকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি পারিবারিকভাবে মিমাংসা করা হয়।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও কিছু অনলাইন নিউজে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের অমানবিক বেত্রাঘাতের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
শনিবার সকাল ১০টায় দুই পক্ষের অনুরোধে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শফি আলমের কার্যালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষক রুবেল দে নিজের দোষ স্বীকার করে অনুতপ্ত হওয়ায় বিষয়টি সমাধান করেন ইউপি সদস্য মোঃ শফি আলম।
এসময় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদারের ছোট ভাই এরশাদ মজুমদার, হায়দারনাশী সরকারি চাকরিজীবী সমিতির সভাপতি মাস্টার জসিম উদ্দিন, শিক্ষক মোঃ আবু বকর, শিক্ষক মোঃ হাবিবুল্লাহ ও গণমাধ্যম কর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার পটভূমি গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) হায়দারনাশী ১নং রিপুজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী অর্পণা দে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত ও পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ছিল। এই কারণে তারই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তার বড় ভাই রুবেল দে অর্পণাকে (আপন চাচাতো বোন) শাসন করতে গিয়ে বেত্রাঘাত করেন। স্কুল ছুটির পর অর্পণা বাড়িতে গিয়ে তার বাবা সুমন দে-কে বিষয়টি জানালে তিনি ভাতিজা শিক্ষক রুবেল দে এর বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন জনকে মৌখিক অভিযোগ করেন। এতে চাচা-ভাতিজার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষকের অনুরোধে ইউপি সদস্য মোঃ শফি আলমের মধ্যস্ততায় তাদের পারিবারিক অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়টির সমাধান করা হয়। এ নিয়ে তাদের মাঝে আর কোনো বিরোধ রইল না বলে উভয় পক্ষ নিশ্চিত করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকল মহলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন