
বাংলাদেশে বাজারব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে এবং ক্রেতাদের অধিকার সুরক্ষায় ২০০৯ সালে প্রণয়ন করা হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন। নকল পণ্য, ভেজাল খাদ্য, অতিরিক্ত মূল্য, কম ওজন—এসব অনিয়ম রোধে এই আইন এখন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভরসা।
আইন অনুযায়ী, বাজারে পণ্য ও সেবা বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করলে, পণ্যের মান বা পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য গোপন করলে, অথবা নির্ধারিত দামের বেশি নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়। খাদ্যে ভেজাল বা নষ্ট পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রেও রয়েছে কঠিন শাস্তির বিধান।
এই আইন বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (DNCRP)। সংস্থার সহকারী পরিচালক, উপপরিচালকসহ গেজেটেড কর্মকর্তারা নিয়মিত বাজার তদারকি করেন। অভিযানে জরিমানা ও অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে তাদের। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে পারেন।
ভোক্তারা চাইলে যে কোনো অনিয়মের অভিযোগ সরাসরি ১৬১২১ নম্বরে, অনলাইনে বা জেলা-উপজেলা অফিসে জানাতে পারেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানার একটি অংশ অভিযোগকারীও পান, যা সাধারণ মানুষকে আরও উৎসাহিত করছে সমস্যাগুলো প্রকাশ করতে।
সরকার মনে করছে, নিয়মিত তদারকি ও জবাবদিহিতা বাড়ায় বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। ক্রেতারা সচেতন হলে এবং ব্যবসায়ীরা আইন মেনে চললে বাজারব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ হবে—এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।
মন্তব্য করুন