
কক্সবাজার-২ আসনে এক মাসের জল্পনার সমাপ্তি; পরীক্ষিত নেতার ওপর ভরসা রাখল বিএনপি হাইকমান্ড, উল্লাসে মাতোয়ারা তৃণমূল।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের দিন থেকেই দেশের উপকূলীয় জনপদ কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের ঘরটি ছিল ফাঁকা, ২৯৫ নম্বর ক্রমিকের এই শূন্যতা জন্ম দিয়েছিল দীর্ঘ এক মাসের জল্পনা-কল্পনা ও গভীর স্নায়ুচাপের। তবে বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। দলের হাইকমান্ড অবশেষে তাদের পুরোনো ও পরীক্ষিত সেনানী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদের হাতেই তুলে দিয়েছে 'ধানের শীষ' প্রতীক। এই ঘোষণার পর নির্বাচনী উত্তাপে ফুটছে উপকূলীয় এই জনপদ।
মনোনয়ন ঘোষণার খবরটি মহেশখালীর কালারমারছড়া এলাকায় পৌঁছানোর সাথে সাথেই যেন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস শুরু হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে শত শত সমর্থক ও কর্মীর অংশগ্রহণে বের হয় আনন্দ মিছিল, যার সমাপ্তি ঘটে আতশবাজির ঝলকানিতে। নেতাকর্মীদের এই স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাসকে তৃণমূলের দীর্ঘদিনের অবদমিত আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন আলমগীর ফরিদ, যিনি এই অঞ্চলের রাজনীতিতে এক অবিচ্ছেদ্য নাম।
আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ কেবল একজন প্রার্থী নন, তিনি এই জনপদের ইতিহাসের অংশ। তিনি ১৯৬৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হয়ে সংসদে এই এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকলেও তার সাংগঠনিক সক্রিয়তা ছিল প্রশ্নাতীত। বিশেষত, যখন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী দলের রাজনীতি ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ, তখনও আলমগীর ফরিদ স্থানীয় সংগঠনকে পুনর্গঠনে মুন্সিয়ানার পরিচয় দেন। বিএনপির স্থানীয় কার্যালয় পুনর্নির্মাণ থেকে শুরু করে দ্বীপ অঞ্চলের দুর্যোগকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো—সর্বত্রই ছিল তার সরব উপস্থিতি, যা তাকে করে তুলেছে তৃণমূলের নির্ভরতার প্রতীক।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কক্সাবাজার-২ আসনে আলমগীর ফরিদকে মনোনয়ন দেওয়া বিএনপির জন্য একটি অত্যন্ত কৌশলগত বিজয়। কারণ এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর রয়েছে শক্ত অবস্থান। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে বিএনপিকে এমন একজন নেতাকে বেছে নিতে হলো, যার রয়েছে নিজস্ব ভোটব্যাংক ও সর্বস্তরের গ্রহণযোগ্যতা।
যুবদল নেতা নাজমুল ছিদ্দিক বলেন, "ফরিদ ভাই মাঠে নামলে মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় বিএনপির অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জয় ছিনিয়ে আনব।" সাধারণ কর্মীদের মতে, তার উন্নয়নধর্মী ভূমিকা এবং তরুণদের সংগঠিত করার দক্ষতা তাকে এই আসনে 'অপ্রতিদ্বন্দ্বী' করে তুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাংগঠনিক প্রতিযোগিতায় তিনি অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছেন।
মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নীতিনির্ধারকদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার জনগণের ভালোবাসাই আমার শক্তি, আমি এই মানুষের জন্যই কাজ করতে চাই।"
আসন্ন নির্বাচনে এলাকা উন্নয়ন, দুর্যোগ-ঝুঁকিতে থাকা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং যুবসমাজের কর্মসংস্থানকে তিনি অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। একইসাথে, তিনি সকল বিভেদ ভুলে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
দীর্ঘদিন পর যোগ্য নেতৃত্বের হাতে ধানের শীষ আসায় নেতাকর্মীদের মাঝে যে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে, তা ভোটের মাঠে কেমন প্রভাব ফেলে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছে সবাই।
🔴প্রধান উপদেষ্টাঃ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ভুট্টো, 🔴নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম জুনাইদ উদ্দিন, বার্তা সম্পাদকঃ এইচ এম হাছিব তাজোয়ার
News Mail: dainikpathakkanta@gmail.com, Head Office: Hathirpul, Motaleb plaza nearest, Dhaka, Cox'sBazar( Chakaria) Office: SabujBag Haji Laila Mention, Chakaria Pourashova.
Design and Develop By Coder Boss